দেখলে সত্যি কষ্ট লাগবে। ভালো করে চলতে পারছে না। সারা গায়ে ক্ষতচিহ্ন। তবুও মাহুতের কথা শুনে রোজ ভিক্ষা করত হাতিটি। একেবারে কঙ্কালসার চেহারা। নাম লক্ষ্মী। মধ্যপ্রদেশের টিকামগড়ের রাস্তায় ভিক্ষা করানো হত হাতিটিকে দিয়ে। এবার সেই হাতিকে উদ্ধার করে পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠাল বনদফতর। সূত্রের খবর গত ১৫ই নভেম্বর দিব্যানী সিং, রাজকুমার অনুরাগী ও প্যায়ারেলাল বিশ্বক্রম নামে তিনজন লক্ষ্মীকে দেখতে পায়। ভালো করে হাঁটতে পারছে না হাতিটি। এরপরই তারা বনদফতরের অভিযোগ জানায় যে, হাতিটি ভালো করে হাঁটতে পারছে না। তবুও এটিকে জোর করে ভাঙা. তপ্ত রাস্তায় ভিক্ষা করানো হচ্ছে। এদিকে অভিযোগের কথা জানাজানি হতেই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় মাহুত। এরপরই হাতির খোঁজে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার শুরু হয়। ১লা ডিসেম্বর ছতরপুর জেলায় হাতির খোঁজ মেলে। এরপর পশুপ্রেমী সংগঠনকে খবর দেওয়া হয়।
এরপর তারা হাতিটিকে উদ্ধার করে। তারা বনদফতরে খবর দেয়। স্থানীয় পশুপ্রেমী সংগঠক শ্রেষ্ঠা জৈন বলেন, স্থানীয় জঙ্গলে হাতিটিকে রাখা হয়েছে। হাতিটি মাত্র ৩০ বছর বয়সী। পশু চিকিৎসকরা বলছেন এটি দেশের মধ্যে সবচেয়ে রোগা হাতি। এটি পোলিওতে আক্রান্ত। এটির পুনর্বাসনের দরকার। এটি ভালো করে হাঁটতে পারছে না। পান্না টাইগার রিজার্ভের পশু চিকিৎসক ডঃ সঞ্জীব গুপ্ত বলেন, প্রচন্ড যন্ত্রণায় ভুগছে হাতিটি। খুঁড়িয়ে হাঁটছে। অঙ্কুশে আঘাতে ক্ষত তৈরি হয়েছে। এদিকে হাতিটিকে গত ২০ বছর ধরে এভাবে নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ।
For all the latest Sports News Click Here
Comments are closed.