এবার আড়ি পাতার অভিযোগ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে, তদন্তের অনুমতি শাহের মন্ত্রকের

দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি নেতা মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে আড়ি পাতা মামলায় তদন্তের অনুমতি দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সিবিআই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে যে, ২০১৫ সালে দিল্লিতে ক্ষমতায় আসার পরে আম আদমি পার্টি রাজনীতিকদের ওপর গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি ইউনিট গঠন করেছিল। উল্লেখ্য, আবগারি দুর্নীতি মামলায় এমনিতেই সিবিআই-এর নজরে রয়েছেন সিসোদিয়া। এবার তাঁর বিরুদ্ধে উঠল নতুন অভিযোগ। (আরও পড়ুন: ‘সরকারি কর্মীরা ভালো থাকলে…’, ডিএ আন্দোলনের মাঝেই বড় বার্তা মমতার)

সিবিআই-এর রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, রাজনীতিকদের ওপর তথ্য সংগ্রহের জন্য গঠিত ইউনিটের মাথা ছিলেন সিসোদিয়া। যদিও আম আদমি পার্টি এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাঁদের পালটা অভিযোগ, সিবিআই এবং ইডি এখনও পর্যন্ত আম আদমি পার্টির নেতাদের বিরুদ্ধে ১৬৩টি মামলা করেছে। তবে একটি মামলাতেও তারা অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। এর মধ্যে ১৩৪টি মামলা আদালতে খারিজ হয়ে গিয়েছে। এই সব মামলাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

এদিকে দিল্লিতে আবগারি দুর্নীতি মামলায় মণীশ সিসোদিয়াকে আগামী রবিবার তলব করেছে সিবিআই। এর আগেও এই মামলায় তাঁকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। তবে তখন সিবিআই-এর কাছ থেকে সময় চেয়েছিলেন সিসোদিয়া। সেই মতো সময় মঞ্জুরও করেছিলেন তদন্তকারীরা। এর আগে গত জানুয়ারি মাসে দীর্ঘক্ষণ ‘তল্লাশি’ চালিয়ে মণীশ সিসোদিয়ার অফিস থেকে একটি কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই। সিবিআই-এর একটি তদন্তকারী দল দিল্লির সচিবালয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার অফিসে গিয়েছিল। তবে সেটিকে ‘অভিযান’ বলে আখ্যা দিতে অস্বীকার করে সিবিআই। তদন্তকারীদের দাবি, বাজেয়াপ্ত কম্পিউটার থেকে আবগারি দুর্নীতির সাথে সম্পর্কিত বেশ কিছু রেকর্ড হাতে আসে।

প্রসঙ্গত, দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছিলেন। মুখ্য সচিবের প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতেই এই সুপারিশ করেন ভিকে সাক্সেনা। দিল্লির মুখ্য সচিবের রিপোর্টে আবগারি নীতিতে উপমুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই আবহে সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। সিসোদিয়ার পাশাপাশি দিল্লির তৎকালীন আবগারি কমিশনার আরভ গোপী কৃষ্ণের বাড়িতেও অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। উল্লেখ্য, আবগারি দপ্তর সিসোদিয়ার অধীনে। এই আবহে গতবছর জন্মাষ্টমীর সকালে সিসোদিয়ার বাড়ি সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। এর পর তাঁর ব্যাঙ্ক লকারও খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। পরে সিসোদিয়া সহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়। এদিকে এই মামলার তদন্ত করছে ইডিও।

ইডির তরফে দাবি করা হয়েছে, এই দুর্নীতির প্রমাণ নষ্ট করতে একাধিক পদক্ষেপ করেছেন সিসোদিয়ারা। ইডির অভিযোগ, দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ শিসোদিয়া ও অন্যান্য সন্দেহজনকরা বার বার তাদের ফোন বদলে ফেলেছেন। প্রায় ১.৩৮ কোটির আর্থিক প্রতারণাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য এসব করা হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ। এজেন্সির তরফে আদালতে দাবি করা হয়েছে, একাধিক মদ ব্যবসায়ী, সরকারের পদস্থ আধিকারিক, দিল্লি আবগারি মন্ত্রী(শিসোদিয়া), অন্যান্য অভিযুক্তরা বার বার ফোন বদলেছেন। ইডি জানায়, অন্তত ৩৬জন অভিযুক্ত গতবছরের মে থেকে অগস্ট মাস পর্যন্ত ১৭০টি মোবাইল ফোন ব্য়বহার করেছেন বা নষ্ট করে ফেলেছেন। এর মধ্যে থেকে ১৭টি ফোন তারা বাজেয়াপ্ত করলেও সেখান থেকেও তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ।

 

For all the latest Sports News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! Technocharger is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.

Comments are closed.